জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের ‘মানহানির’ প্রতিবাদের বিক্ষোভ করেছে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা৷
বিদ্রোহী হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর সম্পন্নের আগেই সিট বাতিল ও শিক্ষার্থীকে অপমানের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত ইফতার বয়কট করে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে করা আন্দোলনে ড. মো. সাইফুল ইসলামের মানহানি করার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩মার্চ) সকালে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষকদের সম্মান দে,নইলে পড়া ছাইড়া দে,সাইফুল স্যারের সম্মানহানি,মানি না,মানবোনা,হুদা স্যার,সাইফুল স্যার, পরেরবার কোন স্যার,তদন্ত ছাড়া সিদ্ধান্ত, মানিনা,মানবোনা’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে। দাবিসমূহ ১. বিদ্রোহী হল প্রভোস্টের সম্মানহানির সাথে জড়িত সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ২. তদন্ত ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক স্যারের বিরুদ্ধে নেওয়া সকল ধরনের অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে।৩. যে সকল অনলাইন পেজ ও গ্রুপ মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীকে উষ্কে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘আমাকে ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ দিয়েছে। আপনারাও অভিযোগ দিন।এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’উপাচার্যের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে।
এর আগে গতকাল(বুধবার)বিদ্রোহী হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর সম্পন্নের আগেই সিট বাতিল ও শিক্ষার্থীকে অপমানের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত ইফতার বয়কট করে বিদ্রোহী হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে গেস্ট হাউজের সামনে অবস্থান নিয়ে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করে।
মতামত