ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
এন আই ডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদী জেলা নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দাবি করেন, স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেয়ার সিদ্বান্ত গণতন্ত্রের জন্য শুভ হবে না।
তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে ৮ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এক সুবিশাল ভোটার ডেটাবেইজ যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য নজির।
১৩ কোটি ভোটারের তথ্য ২৫টি ধাপে সুরক্ষিত আছে কমিশনে। ভোটারদের অনুমতি ছাড়া এ তথ্য কোনও প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য হবে না।
নির্বাচন কমিশনের অধীনে এনআইডি না থাকলে ভোটারদের ভোটার হওয়ার আগ্রহ কমে যাবে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে নরসিংদী জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ শাহীন আকন্দ বলেন, “ভোটার তালিকার ডাটাবেজ হতে জাতীয় পরিচয় পত্রের উৎপত্তি। গত ১৭ বছর ধরে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করে আসছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে সন্তানের মত। এটা আমাদের নিজস্ব সম্পদ।
কিন্তু সম্প্রতি একটি চক্র জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রমকে আলাদা একটি কমিশন গঠন করে সেখানে হস্তান্তরের পায়তারা করছে। এর প্রতিবাদে এবং আমাদের সন্তানতুল্য জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবীতে আমরা “ষ্টান্ড ফর এনআইডি” কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছি। আমরা আশা করছি সরকার আমাদের দাবীর সাথে একমত থাকবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ভূঞা, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: ওমর ফারুক, বেলাব উপজেলা নির্বাচন অফিসার সোমা যাদব, মনোহরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাসিদুল ইসলাম, রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আতাউল হক ও শিবপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফারিজা নূর।
মতামত