ছবি : ফাইল ফটো
বার্তায় বলা হয়, আজ দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দিয়ে তার হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনা হয়। তার মস্তিস্ক প্রতিক্রিয়াহীন। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩।
মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস। মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া শিশুটির রক্তচাপ ও অক্সিজেন লেভেলও এখন অনেক কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায়।
এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত সে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (হৃদ্যন্ত্রের স্পন্দন বা হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়া) শিকার হয়েছে এবং প্রতিবারই সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে তাকে স্থিতিশীল করা হয়েছে। এছাড়া, তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস চলছে। বর্তমানে শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরও নিম্নমুখী হচ্ছে, ফলে আশঙ্কা কাটেনি।
পোস্টে বলা হয়েছে, সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড শিশুটির চিকিৎসার জন্য আধুনিক সব চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
গেলো বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। গত শনিবার (০৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সংকটাপন্ন শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার (০৯ মার্চ ) শিশুটিকে সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেয়া হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন, এবং তার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে। চিকিৎসকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেলেও শিশুটির শারীরিক জটিলতা এবং বারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা তার অবস্থা আরও সংকটময় করে তুলছে।
মতামত