সারাদেশ

গাজীপুরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর

প্রিন্ট
গাজীপুরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২৫, সকাল ৯:৩৮

গাজীপুরের গাছা ৩৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় দলীয় কোন্দলের জের ধরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে গাছা থানা বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করে হামলাকারীরা। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও গাছা থানা বিএনপির সহ সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল। 

অভিযুক্তরা হলেন, ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাদিকুর রহমান টিপু, রফিকুল ইসলাম সুমন ওরফে কার্টুন সুমন, সুমন রাহাত, জাকির হোসেন ওরফে ঝুলা জাকির, শাহেন শাহ,  জিএস মামুন, নুরে আলম, মোহাম্মদ আলী, আলামিন ও আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাত ৭০/৮০ জন।


অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গাজীপুরের গাছা এলাকায় ৫ আগষ্টের পর ঝুট, ময়লা, ইন্টারনেট, ডিস ব্যবসার দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটু সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রের নেতৃত্বে আছেন গাছা থানা বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে তার সাথে জোট করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে স্থানীয় যুবদল ও বিএনপির একটি অংশ। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার সকালে ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা। 

ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল বলেন,  রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনো ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর সাথে আপোষ বা লেয়াঁজো করে রাজনীতি করিনি। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমি ৩৮ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু আমার দল নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিলে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করি। সেই সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী মনিরের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন বিএনপির থেকে বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন। আমি তার ভাগ্নে হাজী মনিরের নির্বাচন করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। গত ৫ আগষ্টের পর তার লোকজন যারা এতদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল তাদের নিয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা ব্যক্তিগতভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে ব্যবসার জন্য চুক্তি করলে সেখানেও বাধা সৃষ্টি করছেন তিনি। সর্বপরি দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করা জাতীয়তাবাদী আদর্শের কোন কর্মীর কাজ হতে পারে না। তারা অতীতে আওয়ামী মদদপুষ্ট ছিল এখন তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মদদ দিচ্ছে।

গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।