ছবি : সংগৃহীত
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর একতলা লঞ্চঘাট এলাকার এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে বুধবার জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতারা দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন।
অভিযুক্ত দুই নেতার মধ্যে সামছুল আলম বরিশাল মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি। এছাড়া মাকসুদুর রহমান মাকসুদ নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
ভূক্তভোগী ইফতার সামগ্রী ব্যবসায়ী শামীম সিকদার বলেন, ‘আমি ৪০-৫০ বছর ধরে লঞ্চঘাটের ফুটপাতে এই ব্যবসা করে সংসার চালিয়ে আসছি। আগে কেউ আমাদের কাছে চাঁদা নিতে আসেনি। হঠাৎ করে রোজা শুরুর পর বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে স্থানীয় মাকসুদ এবং সামছু আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দিলে এখানে ব্যবসা করতে দিবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।’
অপর ভূক্তভোগী, বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রুবেল মল্লিক বলেন, ‘আমি সরকারি জমিতে ব্যবসা করছি। সামছু এবং মাকসুদ এসে আমার কাছে এককালীন ৩০ হাজার টাকা এবং দৈনিক ৩০০ টাকা দাবি করে।’
রুবেল মল্লিক আরও বলেন, ‘আমি বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কর্মী পরিচয় দিয়ে তাদের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। তখন তারা বিএনপি এবং দলীয় নেতাদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহানগর বিএনপি এবং যুবদল নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।’
মতামত