ছবি : ফাইল ফটো
আহতরা হলেন- পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম, এসআই শরিফুল ইসলাম ও এএসআই মো. নাসির। তারা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওসি নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ফাহিম নামে ওই যুবক থানায় এসে দাবি করেন, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। এরকম ঘটনা আমার জানা নেই- বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন- আপনি এটা নিয়ে লুকোচুরি করছেন কেন? আপনার ডিউটি অফিসার জানে। তখন ওই যুবককে নিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে যায়। সেখানে অন্যরাও বলেন, এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই। পরে ওই যুবকের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কিছু বলেন না। একপর্যায়ে আমি তার হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হঠাৎ আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। তখন এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক মেরে তার একটি আঙুল ভেঙে দেন। এ ছাড়া এসআই শরিফুলের কপালে ঘুষি মারেন। পরে আমরা তাকে আটক করি।
ওসি জানান, আটকের পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাদেরকেও আটক করা হয়। তাদের বাড়ি গাজীপুর। তারা কেন এমন কাণ্ড করেছেন তা জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ জানায়, ফাহিম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বা মাদকাসক্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গাড়িতে থাকা তিনজন তার বন্ধু। গাড়িতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্টিকার সাঁটানো ছিল।
মতামত