ছবি : সংগৃহীত
সোমবার (১০ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জয়নগর গ্রাম থেকে ডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ঠিক করেন নিহতের চাচা মুকুল মিয়া। এসময় একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তারেক, আইয়ূব মিয়া, নাজমুল হোসেন ও মোমেন মিয়া ওই অটোরিকশা নিয়ে বেশি ভাড়া দেবে বলে বাজারে যাওয়ার অজ্ঞাত ওই অটোচালককে চাপ প্রয়োগ করে। এ নিয়ে নিহত সুমন মিয়া ও তার চাচা মুকুল মিয়ার সঙ্গে তারেকদের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পরে একে অপরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন।
তারই জের ধরে রাত সোয়া ৮টার দিকে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মুকুল মিয়ার বাড়িতে হামলা করতে যায়। এসময় বাড়ির পাশে আজিজুল মিয়ার মুদি দোকানের সামনে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়াকে পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া হামলায় আহত আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় আলম মিয়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মিয়া জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মতামত