ছবি : ফাইল ফটো
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টায় মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। আসরের মোস্ট ফেভারিট ভারত আছে দুর্দান্ত ফর্মে। গ্রুপপর্বে সেরা হয়ে ফাইনালে পা রাখা ভারত অবশ্য দুবাইয়ে একটু বেশিই সুবিধা পেয়েছে! হাইব্রিড মডেলের কারণে নিজেদের সব ম্যাচ খেলেছে একই দেশে। যেখানে বাকি দলগুলোকে ভ্রমণ ঝামেলা পেরিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে। পাশাপাশি দুবাইয়ের যে পিচে আজ ফাইনাল হতে যাচ্ছে সেটাও বেশ পরিচিত রোহিত শর্মার দলের। স্পিন সহায়ক পিচের জন্য আগেই দলে রাখা হয়েছে পাচঁজন বাঘাবাঘা স্পিনারকে। ফাইনাল নিয়ে রোহিত জানান,‘শিরোপা পুনরুদ্ধার করাই মূল লক্ষ্য। এবারের আসরে দারুণ পারফরমেন্স করেছে নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে কিউইদের সমীহ করতে হবে। আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
অন্যদিকে কিউইরাও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া বাকিসব ম্যাচ জিতে নিজেদের শিরোপার দাবিদার হিসেবে প্রমাণ করেছে। অবশ্য তারাও ভারতকে মোস্ট ফেভারিট মেনেই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক মিচের স্যান্টনার। ফাইনালে জিততে আশাবাদী স্যান্টনার জানান, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এই ধারা অব্যাহত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য শিরোপা জয় করা। ভারতকে হারাতে হলে তাদের চেয়েও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। দলের সবাই শিরোপার জন্য মুখিয়ে আছে।’
ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ১১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ভারত ৬১ এবং নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫০ ম্যাচ। সেখানে ১ ম্যাচ টাই ও ৭টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। আইসিসি ইভেন্টে এই দুই দলের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হয়েছে। অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুইটি শিরোপা জিতে এগিয়ে আছে ভারত। ২০০২ আসরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফাইনাল বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল খারত। আর ২০১৩ সালে বার্মিংহামে আসরের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা ঘরে তোলে তারা। যেখানে কিউইরা জিতেছে মাত্র ১টি। তবে সেটিও ভারতের বিপক্ষে। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে তারা।
মতামত