ছবি : সংগৃহীত
রোববার (৯ মার্চ) ভোরে শহরের কোরালিয়া রোড এলাকায় রুস্তম বেপারীর বাড়ির চতুর্থ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ভাড়াটিয়া আবদুর রহমান (৬০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫৫), ছেলে ইমাম হোসেন সর্দার (৩৫), পুত্রবধূ খাদিজা বেগম (২৫), মহিন সর্দার (১৬) ও নুসরাত জাহান নিভা (২২)। তাদের মধ্যে প্রথমে চারজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। পরে অন্য দুজনকে পাঠানো হয়।
পরিবারের সদস্য লিজন তালুকদার বলেন, বাসায় ১১ জন ছিল। এর মধ্যে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। আবদুর রহমানের ছোট ছেলে রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। এতে রাতে বাসার প্রথম দরজায় তালা লাগিয়ে রাখে। এতে আগুন পুরো বাসায় ছড়িয়ে পড়লে তারা বাসা থেকে বের হতে পারেনি। ভোর রাতে সাহরির খাবার গরম করার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালানোমাত্রই বিকট শব্দে গোটা ছয়তলা বাড়ি কেঁপে ওঠে। এ সময় রান্নাঘর ছাড়াও আশপাশের আরও তিনটি কক্ষে আগুন লেগে যায়। এতে বিছানা ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
প্রতিবেশী বাসার রাশিদা বেগম বলেন, সাহরি খেতে ওঠার পর বিকট আওয়াজ ও চিৎকার শুনতে পাই আমরা। পরে দরজা খুলতে দেরি হয়। দরজা খোলার পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের সবার শরীর মারাত্মকভাবে ঝলসে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, তাদের শরীরের হাত-পা, মুখ দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রথমে চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাকি দুজনকেও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
মতামত