সারাদেশ

মসজিদে হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

প্রিন্ট
মসজিদে হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

ছবি : আহত ব্যক্তিরা


প্রকাশিত : ৮ মার্চ ২০২৫, রাত ১১:২০

লালমনিরহাটে মসজিদে হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুর, সন্ধ্যা ও রাতে লালমনিরহাটের তেলীপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জুম্মার নামাজের সময় হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে দুপুরে তেলিপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সজিব গংদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় একই এলাকার অটোচালক আব্দুস সালামের ছেলে সিজানের। সে সময় সিজানকে মারধর করে সজিবরা। এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে মারধরের শিকার হন আব্দুস সালাম। এ সময় একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় শফিকুল গংরা। পরে আহত সিজান ও তার পরিবারকে দেখতে সিজানের বন্ধুরা সন্ধ্যায় সিজানের বাসায় আসলে শফিকুল ইসলামসহ তার ছেলে ও সহযোগীরা পুনরায় হামলা করে আব্দুস সালামদের উপর। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে দুপুরে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে রোহান ও সিজানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে গুরত্বর আহত করার অভিযোগ ওঠে শফিকুল গংদের বিরুদ্ধে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা শফিকুলের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শফিকুল ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষজন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

উক্ত সংঘর্ষে সিজান (২০), রোহান (২২), দুলালী, জাহানারা, আব্দুল হামিদসহ অন্তত ৮জন আহত হয়। এদের মধ্যে ওই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সিজান (২০) ও একই এলাকার ফরহাদ মিয়ার ছেলে রোহান (২২) গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- তেলিপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (২৩), সৈকত (১৮), শাহিনুর ইসলাম (২৬) ও সজিব (২৫)।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নুরনবী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ, ডিবি ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে।

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ. কে. এম ফজলুল হক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে ২জন গুরত্বর আহত হয়েছে বলে শুনেছি। সংঘর্ষের পরপর স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে শফিকুলে বাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের পরিবার অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।