ছবি : ফাইল ফটো
নিচে বিস্তারিতভাবে রমজানের প্রথম জুমায় করণীয় আমলগুলো তুলে ধরা হলো—
রমজানের প্রথম জুমার বিশেষ আমল
১. তাহাজ্জুদ ও ইবাদতের মাধ্যমে রাত জাগরণ: রমজানের বরকতময় রাতগুলোর মধ্যে প্রথম জুমার রাতও বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। তাই এই রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, তওবা-ইস্তিগফার করা এবং দরুদ পাঠ করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
২. ফজরের পর কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির: জুমার দিন ফজরের নামাজের পর সূরা কাহফ পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় নূর হয়ে যাবে।’ (হাদিস: মুসলিম)
৩. গোসল ও সুগন্ধি ব্যবহার: জুমার দিনের সুন্নত আমলের মধ্যে গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অন্যতম।
৪. জুমার নামাজ যথাযথভাবে আদায় করা: রমজানের প্রথম জুমায় যথাসময়ে মসজিদে গিয়ে খুতবা শোনা ও মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় করা জরুরি।
৫. বেশি বেশি দোয়া করা: জুমার দিন দোয়া কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যা আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই সময়ে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
৬. দরুদ শরিফ পাঠ করা: রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা এ দিন তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।’ (আবু দাউদ)
৭. সাদাকা ও দান-খয়রাত করা: রমজানের প্রথম জুমা আরও বেশি বরকতময় হওয়ায় এই দিনে গরিব-দুঃখীদের দান করা বা ইফতার করানো অনেক সওয়াবের কাজ।
৮. আত্মশুদ্ধির নিয়তে বেশি বেশি ইস্তিগফার করা: এদিন আল্লাহর কাছে নিজের সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চেয়ে বেশি বেশি ইস্তিগফার করা উচিত।
রমজানের প্রথম জুমা বরকতময় দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই এই দিনটিকে যথাযথভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো উচিত। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, দোয়া ও ইস্তিগফার করলে আল্লাহর রহমত লাভ করা সম্ভব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন!
মতামত