ছবি : সংগৃহীত
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নাজমুল ইসলামকে ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকার একটি বাসার টয়লেটের ছাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের বসতবাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় ওই নারী ভাড়া বাসায় থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি চাকরি করতেন। তিনি বাসায় থাকা অবস্থায় নাজমুল ইসলাম বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টায় তার স্বামী কাজী সাজ্জাদুল ইসলাম বাসায় দেখা করতে গেলে নাজমুল তার বন্ধু রনি এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে তাকে ধরে টানাহেচড়া করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিসহ মারধর করে। এ সময় তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল সেট এবং নগদ ১ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ সময় তারা সাজ্জাদুলের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে ওই নারীর বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে তার স্বামীকে হত্যার চেষ্টার ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তার স্বামীকে যখন যেখানে পাবে সেখানে খুন করবে মর্মে হুমকি দিয়ে মুঠোফোন কেড়ে নেয় আসামিরা।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২নং এজাহারনামীয় আসামি রনিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মতামত