ছবি : সংগৃহীত
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে বিজয়নগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে ঐ গ্রামের আবু হানিফের পুত্র এবং পিপুলশন কওমী মাদ্রাসার ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ৮ বছরের তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে বিজয়নগর গ্রামের একটি মাদ্রাসার ফাঁকা কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বিজয়নগর মদিনাতুল উলুম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবু বক্কর। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ধর্ষক আবু বক্কর পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়।
এদিকে বুধবার সকালে ধর্ষণের শিকার ওই শিশু শিক্ষার্থীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নাটোর জজ আদালতে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে ধর্ষিতা পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ধর্ষক আবু বক্কর এর আগেও মাদ্রাসায় লেখাপড়া অবস্থায় সিংড়া উপজেলার নিংগইন গ্রামের একটি মেয়েকে নিয়ে উধাও হয়। তাকে পালিয়ে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে তাদের তালাক হয়ে যায়। এছাড়াও অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েদের রাস্তা-ঘাটে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্তের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর মদিনাতুল কওমি মাদ্রাসার দায়িত্বরত মোয়াজ্জিম শরিফুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ৩ দিন আগে মাদ্রাসা ছুটি দেওয়ায় ফাঁকা ছিল। শুধু আজান ও নামাজের জন্য তিনি দায়িত্বে ছিলেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষ খুলে রেখে বাজারে যাওয়ায় তার অনুপস্থিতিতে ওই কক্ষে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম খোকন মুঠো ফোনে বলেন, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া শেষে ওই শিশু শিক্ষার্থীর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সঠিক তথ্য দেওয়া হবে।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এবিষয়ে ওই ভুক্তভোগীর পিতা সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ আসামিকে আটক করে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মতামত