ছবি : সংগৃহীত
নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে চেয়ারম্যানের পদ হারাতে বসেছে, রংপুর পীরগঞ্জের ৪ নং কুমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের, স্থানীয় সরকার, " পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বিভাগ " একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ৪নং কুমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে, আমিনুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আর্তসাৎ, জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স অতিরিক্ত ফি আদায়, সর্বসাধারণের নিকট বছরে একাধিকবার কর দায়, ইউনিয়ন পরিষদের চুক্তিভিত্তিক সামাজিক বননের গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ, এবং ইউপি পরিষদের সকল সদস্য ও সদস্যদের বেতন ভাতা আত্মসাৎ সহ ৩৫টি দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত হন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
এরোই প্রেক্ষিতে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও সদস্যা গন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এ সকল দুর্নীতির অভিযোগ সহ অনাস্থা প্রস্তাব করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পীরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৯ (১৩) ধারার বিধান অনুযায়ী, সরকার কর্তৃক জনস্বার্থে , দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন এবং রংপুর জেলা প্রশাসক ও পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, খাদিজা বেগমের সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান - হ্যা আমি "পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বিভাগ " থেকে একটি প্রজ্ঞাপনের চিটি পেয়েছি কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছি না। কারণ এ সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা রয়েছে। যা অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম করেছে। হাইকোর্টে মামলাটি নিষ্পত্তি হলেই এই ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মতামত