ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের আয়োজনে ৬ষ্ঠ জাতীয় হাজং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার গোপালবাড়ি চেংনী গ্রামে শনিবার এ আয়োজন করা হয়।
এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন হাজং মাতা রাশিমণি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মতিলাল হাজং।
বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সভাপতি আশিষ কুমার হাজং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং এর সঞ্চালনায় এই আয়োজনে আলোচনা করেন এনজিও কর্মকর্তা প্রফুল্ল হাজং, ধর্ম অধিকারী মনেষ গোস্বামী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অখিল চন্দ্র হাজং,স্বপন হাজং,ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং,সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ফরিদ হাজং,শিক্ষক হরিদাস হাজং,সেনজিদ হাজং রুপক,বিপুল হাজং এবং সিনিয়র সাংবাদিক মো. ফখরুল আলম খসরু।
আলোচকরা বলেন,বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠন ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত হাজং জাতির লোকদের অধিকার,আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে নেত্রকোণা,ময়মনসিংহ, শেরপুর, সুনামগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে হাজংরা হাতিখেদা বিরোধী আন্দোলন, টংক ও জমিদারপ্রথা উচ্ছেদ আন্দোলন এবং একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে অসামান্য অবদান রেখেছেন। এভাবে হাজং জনগোষ্ঠী তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে দমন পীড়নের শিকার হয়ে অনেক পরিমাণে জমি-জমা ও বসতভিটা হারিয়েছে। বর্তমানে হাজংরা প্রান্তিক পর্যায়ে থেকে নানান সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে এবং নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে নিজেদের মূল্যবান ঐতিহ্য,মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই সম্মেলনে বিভিন্ন সেক্টরে অনন্য অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশিষ্ট নারী নেতৃত্ব খুশী কবির ও ধান গবেষণা বিজ্ঞানী সেন্টু হাজং কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মতামত