সারাদেশ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নেত্রকোণায় নানা আয়োজন

প্রিন্ট
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নেত্রকোণায় নানা আয়োজন

ছবি : ঢাকা ইনসাইটস


প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ৯:১৭ আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ৯:২০

নেত্রকোণায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

রাত ১২ টা ১ মিনিটে নেত্রকোণা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন। এসময় জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শহীদ মিনার বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর ধাপে ধাপে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,সামাজিক সংগঠন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ সর্বস্তরের জনতা। 

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আইনশৃংখলা বাহিনী পুরো শহরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। মহান এ দিবস পালনে নেত্রকোণার বিভিন্ন সড়ক ও দেয়ালে আলপনা আঁকা সহ সকল সৌন্দর্য বর্ধন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

এই একুশের দিনে দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ পর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শহীদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

এদিকে জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও একুশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে নানা আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী করা হয়। জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি এর আয়োজনে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা সুন্দর হস্তাক্ষর ও রচনা লিখন প্রতিযোগিতা করা হয়। এছাড়া সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুরস্কার বিতরণীও অনুষ্ঠিত হয়।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন,জাতীয় জীবনে সকল চেতনার উৎস হচ্ছে এ দিনটি। একুশের মাধ্যমে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল তার পথ ধরেই প্রশস্ত হয়েছে স্বাধীনতার স্বপ্ন। বিশ্ব আজ সেই আত্মত্যাগ স্মরণ করছে গভীর শ্রদ্ধায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। একুশের মধ্যমে আমরা অর্জন করেছি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা এবং স্বতন্ত্র সত্তা। জাতীয় জীবনের এই গৌরবোজ্জ্বল ও মহিমান্বিত দিনে স্মরণ করছি সেই বীর সন্তানদের, যাঁরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় আত্মাহুতি দিয়েছিল। একুশের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে আমাদের সম্মুখে এগিয়ে যেতে হবে দৃঢ় প্রত্যয়ে।