ছবি : সংগৃহীত
তিনি বলেন, “আপনারা একটি ভুল করেছেন, আর সেটি হলো নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মকে শিল্পখাত (ইন্ডাস্ট্রি) হিসেবে ঘোষণা দেওয়া। ইন্ডাস্ট্রি বলতে বেশি খরচ, বেশি বিদ্যুৎ বিল এবং বেশি ট্যাক্স বোঝায়। যখন আপনারা সেবা বা কৃষি খাত থেকে বের হয়ে শিল্পখাতে গেছেন, তখনই আপনাদের জন্য বাড়তি ব্যয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
ফরিদা আক্তার বলেন, “একটি বিষয় চিন্তা করতে হবে যে এটি একটি সেবা খাত। আপনারা খাবার সরবরাহ করছেন, আর সেটি হলো প্রোটিন, যা আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি শুধু খাদ্য নয়, বরং দেশের তরুণদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যে তরুণরা পরিবর্তন দিয়েছে, তারা নিশ্চয়ই পোল্ট্রির মাংস খেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের একটি বড় অংশ পোল্ট্রির মাংস ও ডিম খেয়ে টিকে থাকে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কম দামে এই প্রোটিন গ্রহণ করতে পারে, যা তাদের খাদ্য চাহিদা মেটানোর অন্যতম উৎস।”
ফরিদা আক্তার পোল্ট্রি সেক্টরে তরুণদের জড়িত করার গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, “আগামী দিনে এ সেক্টরে তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আনার জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি যাতে তরুণ প্রজন্ম পোল্ট্রি সেক্টরে আরও ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি সেবাখাত হিসেবে পোল্ট্রি সেক্টরকে সঠিকভাবে পরিচালনার আহ্বান জানান এবং এর প্রভাব সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
মতামত