ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, দলীয় আনুগত্যের মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তায় আন্দোলন দমনের চেষ্টা করার অভিযোগে শেকৃবির আওয়ামীপন্থী ১২ জন শিক্ষক, ৭কর্মকর্তা ও ১১ জন কর্মচারীকে চাকরি কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাস্তির আওতায় আনেননি অনেক শিক্ষক কর্মকর্তাদের বলে দাবি শেকৃবি ছাত্রদলের। এছাড়াও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত চান তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শেকৃবি সাংবাদিক সমিতির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান শেকৃবি ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
শেকৃবি ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই-২৪ বিপ্লবের প্রাক্কালে এবং বিপ্লবের পুরোটা সময় ধরে এই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আওয়ামীপন্থী দোসররা টাকা-পয়সা, জ্ঞান-বুদ্ধি, লজিস্টিক সাপোর্ট ইত্যাদির পাশাপাশি নিজেরা সশরীরে ফ্যাসিবাদের পক্ষে নেমেছিল। যার প্রমাণ, স্থির চিত্র, ভিডিও চিত্র সকলের কাছেই আছে । সাথে সাথে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট এইসব ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং ছাত্রলীগের বিচার দাবি করে আসছে বলে অবহিত করেন।
তারা আরও বলেন,আমাদের কঠোর দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় উক্ত তদন্ত কমিটি ১২ জন শিক্ষক, ৭ কর্মকর্তা ও ১১ জন কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িকভাব বরখাস্তের সুপারিশ করেছে তবে আমরা তাদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত চাই।
এছাড়াও শেকৃবি ছাত্রদল এই তদন্ত কমিটির তদন্ত এবং সুপারিশ পক্ষপাতদুষ্ট মনে করছে বলেও উল্লেখ করেছেন নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি সুবিধাভোগী এবং উচ্ছিষ্টভোগীদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা ।
মতামত