ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার(১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
শেকৃবি ছাত্রদল "কুয়েটে ফর্ম বিতরণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল" শিরোনামে মিছিল বের করে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর বলেন, "বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুয়েট শাখার ফর্ম বিতরণকে কেন্দ্র করে ভুয়া সংগঠন ও বহিরাগতরা ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদেই শেকৃবি ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে।"
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিলে অংশ নেন। সেখানে আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ জাহিদ হাসান বলেন, "জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে ২ হাজারেরও বেশি শহীদ হয়েছেন, ৩০ হাজার আহত হয়েছেন এবং ৬০০ জন তাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। শহীদদের এই আত্মত্যাগ কারো রক্তচক্ষু দেখানোর জন্য হয়নি।" তিনি আরও বলেন, "নবীন ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একটি বিপ্লবের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। তারা চাইলে শিবির, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন বা যেকোনো সংগঠনে যুক্ত হতে পারে। কেউ তাদের নির্দিষ্ট দলে যেতে বাধ্য করতে পারবে না।"
বৈষম্যবিরোধী মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা "সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না", "লীগ গেছে যে পথে, দল যাবে সেই পথে", "টেম্পু না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা", "চাঁদাবাজি না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা" প্রভৃতি স্লোগান দেন।
কুয়েট ক্যাম্পাসের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রভাব শেকৃবিতেও পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের এই মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, তা যেন শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত না করে—এমন মতামতও উঠে এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
মতামত