ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ড শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মহানগর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে সদরঘাট থানায় করা মামলায় নেজামুদ্দিন নদভীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও নদভীসহ ২৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে গত ৪ নভেম্বর সদরঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন মোমেন হোসেন জয় নামে এক ব্যবসায়ী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা গত ৪ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত নগরের সিটি কলেজের সামনে থেকে ইসলামিয়া কলেজ মোড়সহ আশপাশের অলি-গলি থেকে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, ইট-পাথর, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আসামিদের হাতে থাকা, অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, হকস্টিক দ্বারা এলোপাতাড়ি বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং গুলিবর্ষণ, ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ছাড়া আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে অশ্লীল গালিগালজ করে এবং অসহায় অবস্থায় পেয়ে দৃষ্টিকটু অশ্লীল ইঙ্গিত করে। এ ছাড়াও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের অশ্লীল গালিগালাজ এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে হেনস্থা করে। সেইসঙ্গে তাদের গণধর্ষণেরও হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আবু রেজা নদভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মতামত