নির্বাচন দেরি হলে ষড়যন্ত্রের ডালপালা বাড়তেই থাকবে: তারেক রহমান

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের আহত ফটো-সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি ছিলেন। এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।

তারেক রহমান বলেন, সফল সংস্কার অবশ্যই দেশের রাজনীতিবিদদের হাত ধরেই সম্ভব হবে। তাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। না হলে ষড়যন্ত্রের ডালপালা বাড়তেই থাকবে। কারণ লুট করা পলাতকরা সেই টাকা ষড়যন্ত্রের পেছনে খরচ করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এমন একটি দেশ মানুষের প্রত্যাশা, যে দেশের মধ্যে মানুষের মৌলিক অধিকার থাকবে। ১৫ বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করে অন্য দেশের নাগরিকদের স্বার্থ হাসিলে কাজ করা হয়েছিল। দেশটা সবার, দেশ একক কারো নয়, যা প্রমাণ করেছে জুলাই বিল্পবের মানুষের ঢল। জুলাই-আগস্টের কয়েক সপ্তাহের হত্যাকাণ্ডই প্রমাণ করে গেল ১৫ বছর আওয়ামী লীগ কী পরিমাণ গুম খুন চালিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা না পেলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যাবে না। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

আন্দোলনে আহতদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়দিন আগে আমরা দেখেছি যে, ছাত্র সমাজের বেশকিছু সদস্য রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন, কেন? তারা সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। জুলাই-আগস্ট মাসে যারা আন্দোলনকে সফল করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। এই ঘটনা একবার না একাধিকবার ঘটেছে।