ছবি : সংগৃহীত
বন বিভাগ বলছে, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অনুপম অদ্বিতীয় সুন্দরবন গড়ে উঠেছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিবেচনায় সুন্দরবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বনের মোট আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগই হচ্ছে জলাভূমি। বিশ্বের অন্যান্য ম্যানগ্রোভ বনের তুলনায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য অধিকতর সমৃদ্ধ। এই বনে সুন্দরীসহ রয়েছে ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড। বাঘ, হরিণ, কুমির, কিং কোবারা, বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতিসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ২১০ প্রজাতির মৎস্য সম্পদ।
একসময় এ বনে বাস করত ৪০০ প্রজাতির পাখি। যা কমতে কমতে এখন ২৭০ প্রজাতিতে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাড়ছে সাগর-নদীর পানির উচ্চতা ও লবণাক্ততা। কমে যাচ্ছে সুন্দরবনের কম লবণসহিষ্ণু সুন্দরীসহ অন্যান্য গাছ, কমছে বন্যপ্রাণীর বিচরণ ক্ষেত্রও। একশ্রেণির জেলে সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ করায় হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের মৎস্যভাণ্ডার। একইভাবে হত্যা করা হচ্ছে বাঘ, হরিণ, শূকরসহ অন্যান্য প্রাণী।
খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘সুন্দরবন প্রকৃতিগতভাবেই সৃষ্টি ও প্রকৃতির রক্ষক। বন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি অনেক প্রকল্পও বাস্তবায়ন হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো রয়েছে সুন্দরবন।
প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি একইসঙ্গে পহেলা ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। খুব উদ্যম উচ্ছ্বাসের সাথেই সারা বিশ্বের মত আমাদের দেশেও পালিত হয় বিশ্ব ভালবাসা দিবস। গোলাপের সুগন্ধি কপোত-কপোতির মাঝে আত্মার বাঁধন সৃষ্টি করে। আবার এই ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসও। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই দিবসগুলো।
মতামত