শিক্ষাঙ্গন

লোডশেডিংয়ে জর্জরিত গবি সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা

প্রিন্ট
লোডশেডিংয়ে জর্জরিত গবি সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা

ছবি : ঢাকা ইনসাইটস


প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:৪৩

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে বিদ্যুৎ সংকট গভীর এক সংকট সৃষ্টি করেছে। অনিয়মিত এবং দীর্ঘ লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম, নিদ্রাহীনতা এবং পানি সরবরাহসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসিক সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঘোরাপির মাজার, এনায়েতপুর, ফুলেরটেক, খেজুরটেক, পল্লিবিদ্যুতসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব এলাকায় অব্যাহত বিদ্যুৎ বিভ্রাট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনা এবং সামগ্রিক শিক্ষা জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যা তাদের নিয়মিত পাঠ্যক্রম অনুসরণে অসুবিধার সৃষ্টি করছে।

সাভার পল্লিবিদ্যুৎ হেড অফিসের কর্মকর্তা মো: সাহেত শাহজাদা বলেন, "এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মূলত ধামরাই গ্রিড থেকে করা হয়। বরাদ্দকৃত পরিমাণ অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ ক্রয় করি। বর্তমানে আমাদের প্রয়োজন ১৮ মেগাওয়াট, কিন্তু আমরা পাচ্ছি মাত্র ১১-১২ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।"

বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হক জানান, "বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অনিয়মিত লোডশেডিং আমাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। নির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি না থাকায় আমাদের পড়াশোনা ব্যাঘাত ঘটছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা-রাতের সময়ে, যখন গভীর মনোযোগের সাথে পড়াশোনা করা প্রয়োজন, তখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদের পড়ার ধারাবাহিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে। পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে এবং গরমের কারণে ঘুমের অভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, "আমি পল্লিবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করব এবং লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কমানোর জন্য তাদের কাছে অনুরোধ জানাব।"