ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি ভয়ঙ্কর রক্ত পিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বিগত ১৫ বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব অনেক ঝুঁকি নিয়ে, অসংখ্য মামলা নিয়ে রিমান্ডে এবং কারাগারের মধ্যে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছন এবং সেই ত্যাগ স্বীকারের মধ্যে যে ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে, সেই প্রস্তুতকৃত জমির উপর জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অবশেষে শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছিল।
শনিবার বিকেলে নরসিংদীর মনোহরদীতে হাতিরদিয়া ছাদত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যে ভোটের জন্য অনেক নেতা কর্মী ক্রসফায়ারে জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছে, যে ভোটের জন্য এত রক্ত ঝরেছে, সে ভোট তো আমরা এখনো পেলাম না। এই ভোটের জন্যইতো এত লড়ায়, এত সংগ্রাম।
জনগণের যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবে, যে দলকে ইচ্ছা সে দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে সরকারে বসাবে। কিন্তু সেটা এখনো কেন ফিরে আসছেনা, সেটা নিয়ে এত গড়িমশি কেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন-আগে সংস্কার সম্পূর্ণ করবেন। কখন সম্পূর্ণ করবেন, কীভাবে সম্পূর্ণ করবেন। সংস্কার পদ্মা নদীর পানির মত, বঙ্গোপসাগরের স্রুতের মত চলমান।
সময়ে সময়ে, যুগে যুগে যখন জনগণের যে প্রয়োজন, সে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কারের স্রুত অব্যাহত থাকবে। সংস্কার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত সরকার থাকলে যে কাজগুলো করতে পারতো, সে কাজগুলো আটকে আছে।
শেয়ার বাজার অত্যান্ত নাজুক অবস্থায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়ছে। কুরবানীর আগে মসল্লার দাম বেড়ে গেছে।
আজকে জবাবদিহিমূলক সরকার আসলে জনগণের এসকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হতো।
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাসির, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিফাত, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল খালেক, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ভিপি মাহমুদুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি একে এম বাছেদ মোল্লা ভূট্টো, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেন্টু ভূইয়া, মনোহরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নাদিম মাহমুদ বায়েজীদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. শহীদুল্লাহ্ , উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক আলী আকবর, সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ।
ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্ধীতা করে নরসিংদীর শিবপুরের সাতপাইকা ফুটবল একাদশ বনাম গাজীপুরের কাপাসিয়ার আলফাজ উদ্দিন মুক্তার ফাউন্ডেশন। পরে ২-০ গোলে সাতপাইকা ফুটবল একাদশ বিজয়ী হয়েছে।
মতামত