আন্তর্জাতিক

দুই দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০০, ঘরছাড়া ৩ লাখ

প্রিন্ট
দুই দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০০, ঘরছাড়া ৩ লাখ

ছবি : সংগৃহীত


প্রকাশিত : ১৮ মে ২০২৫, দুপুর ১২:৫৮

ইসরায়েলি বাহিনী গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজার উত্তর অংশে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। একইসঙ্গে প্রায় ৩ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করেছে। শনিবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। 


রবিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য তুলে ধরেছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল শুক্রবার (১৬ মে) থেকে শনিবার (১৭ মে) পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করে দিয়েছে।পাশাপাশি, ৩ লাখেরও বেশি মানুষকে জোরপূর্বক গাজা শহরের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে তাদের থাকার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।

এতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের হামলার স্থানে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। ফলে প্রায় ১৪০ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়ার তেল আল-জাতার এলাকা, বাইত লাহিয়া শহর ও আশপাশের এলাকায় শরণার্থীদের জন্য স্থাপন করা শত শত তাঁবু পুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি ড্রোনগুলো। গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, এই ঘটনার সময় আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতা ও নির্লজ্জ সহযোগিতা গভীর উদ্বেগজনক।

এতে আরও বলা হয়, আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুর ঘাটতির কারণে হাজার হাজার পরিবারকে রাস্তায় বসবাস করতে হচ্ছে, বিশেষ করে আল-জালাআ স্ট্রিট ও আল-সাফতাউই এলাকায়। খাদ্য, পানি ও ওষুধের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এবং টানা অবরোধ ও বিমান হামলার মধ্যে বাসিন্দারা চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন।

এ ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে গণহত্যা বন্ধ করতে, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক দল পাঠাতে, অবরোধ খুলে মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করতে এবং ইসরায়েলি নেতাদের আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সফরের সময় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা চার দিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৮ জনে, যা পূর্ববর্তী চার দিনের তুলনায় প্রায় চারগুণ।