ছবি : ছবি: ঢাকা ইনসাইটস
আম পাড়াকে কেন্দ্র করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের হওয়া ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানকে গত ১৩ মে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করা হয়।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ খায়রুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, “রিমান্ডের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আমরা তো রিমান্ডের জন্য বলিনি। বরং, ৩০৭ ধারাটি (হত্যাচেষ্টা) প্রত্যাহারের জন্য আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে একটি চিঠি দিয়েছি।”
এদিকে, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইশরিয়াক কবির এ মামলাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “২০-৩০ জনকে নিয়ে কেউ হত্যা করতে আসে না। তার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। হয়তো তাৎক্ষণিক উত্তেজনায় এমনটা হয়েছে। তবে তদন্ত করে দেখতে হবে ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা আছে কি না।”
বাদী পক্ষের আইনজীবী মিনা মিজানুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নোমানকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন এবং তদন্তাধীন। তদন্তে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তবে চার্জশিট দাখিল হবে।
উল্লেখ্য, ২ মে (শুক্রবার) বিকেলে আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ শিক্ষার্থীকে ‘চোর’ সাব্যস্ত করার অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যায় ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আম পাড়তে যান, যেখানে শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকি লাঞ্ছনার শিকার হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার, ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং স্নাতক সনদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
মতামত