রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগে ঘটে যাওয়া শিক্ষক-ছাত্রী ঘটনা সম্পর্কে ফাইন্যান্স ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ পাপুল এবং শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।
শনিবার (১৭ মে) এক লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, নারীলোভী শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ পাপুল এবং শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুনকে আমরা, ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের (২৩তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা, সর্বাত্মকভাবে বয়কট করছি। তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। কেউ যদি তাদের পক্ষে অবস্থান নেয় বা তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে, তার দায়ভার ফাইন্যান্স ২৩তম ব্যাচ বহন করবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি: ১. সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নারীলোভী শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ পাপুল এবং শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ২. শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ পাপুল ও মারিয়াকে রক্ষার জন্য যে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং প্রমাণিত চাঁদাবাজদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও মারিয়াকে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়ার অভিযোগ এনে বুধবার (১৪ মে) রাতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে ৩ লাখ ২ হাজার ৫ শত টাকা আদায়ের অভিযোগে দুইজন সাংবাদিক ও দুইজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে।
এরপর শনিবার (১৭ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এবিষয়ে অভিযুক্ত দুই সাংবাদিক চাঁদাবাজির ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
মতামত