ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে-(কুবি) প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলা অঞ্চলে লেনদেনের কাজে ব্যাবহৃত বিভিন্ন সময়কার স্বর্ণ-রৌপ্য নির্মিত মুদ্রা ও সেইসময়কার প্রচলিত কড়ি।
শুক্রবার, (১৬ মে) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির আয়োজনে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ নিউমিসম্যাটিক কালেকটরস সোসাইটি (বিএনসিএস) কতৃক সংগৃহীত এ মুদ্রাগুলো প্রদর্শন করা হয়।
প্রদর্শনীতে বাংলা অঞ্চলে আদি সময়কালের প্রচলিত কিছু মুদ্রা প্রদর্শন করা হয়। সেখানে মৌর্য ও গুপ্ত যুগের বিভিন্ন রাজাদের শাসনামলে প্রচলিত মুদ্রা এবং বাংলা ও দিল্লীর সুলতানী শাসনামলের প্রচলিত মুদ্রা প্রদর্শন করা হয়। সেইসাথে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যাবসায়িক কাজে ব্যাবহৃত রৌপ্য মুদ্রা এবং ভারতীয় স্বাধীন রাজ্য জৈন্তাপুরের রৌপ্য মুদ্রা প্রদর্শন করা হয়।
এখানে আরো প্রদর্শিত হয় বাংলার সুলতানী শাসনামলে প্রচলিত ‘এক টংকা’। বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত মুদ্রা ‘টাকা’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘টংকা’থেকে, যার অর্থ রৌপ্যমুদ্রা। চৌদ্দ শতকে ইবনে বতুতা দেখিয়েছিলেন বাংলা সালতানাতে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রাকে দিনার না বলে টাকা বলা হতো। এ ছাড়াও দেশভাগ পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলের পাকিস্তানি রুপিতে ‘টাকা’ শব্দটি মুদ্রিত ছিলো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিউমিসম্যাটিক কালেকটরস সোসাইটি (বিএনসিএস)’র সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন‚ ‘মুদ্রা সংগ্রহ একটা মনের আনন্দের বিষয়। প্রতিটা মুদ্রার সাথে একটা ইতিহাস জড়িত। আজ আমরা এখানে বাংলা অঞ্চলের আদি যুগে যে মুদ্রাগুলো ব্যাবহৃত হয়েছিলো সেগুলো প্রদর্শন করছি। এখানে মৌর্য যুগ থেকে শুরু করে বেঙ্গল সালতানাত, দিল্লী সালতানাত ও এ অঞ্চলের টাকশাল থেকে যেসব মুদ্রা বের হয়েছে সেগুলো প্রদর্শন করছি।’
মতামত