ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, ‘এ দেশের প্রতিটি নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার চায়। আমার শিক্ষার্থীরা তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসে আন্দোলন করছে, কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। অথচ চাইলে প্রথম দিনেই সমাধান সম্ভব ছিল।’
শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার। আমরা এখন এমন এক মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যেখান থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। যদি আমাদের দাবিগুলো মানা না হয়, তাহলে কাকরাইল মোড়ই হবে নতুন জনদাবির কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি দেয়, তবে তা রুখে দাঁড়ানো হবে।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, এদিন সকাল ১০টায় শিক্ষকদের নেতৃত্বে কাকরাইলে জবি শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় সাড়ে ১১টার দিকে। জুমার নামাজের পর থেকে গণ–অনশনে বসেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অংশ নিতে একাধিক বাসে করে ধাপে ধাপে কাকরাইলে আসতে থাকেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে লংমার্চ করার সময় কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন।
দাবিগুলো হলো:
১. ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসনবৃত্তি কার্যকর করা;
২. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন;
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন।
মতামত