শিক্ষাঙ্গন

আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণায় কুবিতে আনন্দের জোয়ার

প্রিন্ট
আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণায় কুবিতে আনন্দের জোয়ার

ছবি : ছবি: ঢাকা ইনসাইটস


প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৫, সকাল ৭:০৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে-(কুবি) আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত ছিল প্রধান ফটক। তারা ‘হ-তে হাসিনা, তুই স্বৈরাচার’‚ ‘ক-তে কাউয়া, কা কা’ প্রভৃতি স্লোগান দেয় এবং পরবর্তীতে মিষ্টি বিতরণ করে তারা।

এসময় ইসলামী ছাত্রশিবির কুবি শাখার সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কোনো না কোনো আন্দোলনে অংশ নিতে বাধ্য হচ্ছি। অথচ আমরা ছাত্র আমাদের প্রধান কাজ হলো পড়াশোনা করা এবং নিজেদের যোগ্য করে তোলা।

আজ আসিফ নজরুল স্যার ঘোষণা দিয়েছেন, সকল খুনির বিচার নিশ্চিত করা হবে। আমরা তাঁর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি আমরা ইন্টারিম গভর্নমেন্টের কাছে আহ্বান জানাই একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক পরিবেশ নিশ্চিত করুন, যাতে আমাদের বারবার রাস্তায় নামতে না হয়। গত জুলাই মাসে আমরা বৈষম্য দূর করার দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম, যাতে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাওয়া নিশ্চিত হয়। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হলো—নিজেদের দক্ষতা অর্জন করা। তাই আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে ইন্টারিম সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই—ছাত্রদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার সুযোগ করে দিন। যেন আমাদের বারবার আন্দোলনে যেতে না হয়।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘ইনকিলাব মঞ্চ’র আহ্বায়ক হান্নান রাহিম বলেন, ‘জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, নিছক সন্ত্রাস। আজ এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা এখনো স্বৈরাচারের দোসর হয়ে রয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কিংবা শিক্ষার্থী তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সুশীলতার মুখোশ পরে তারা যেন সত্যকে আড়াল করতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে রাজধানী ঢাকায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির, হেফাজতে ইসলামসহ একাধিক সংগঠন। আন্দোলনের সূচনা করেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যিনি যমুনা এলাকায় অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত হয় এক গণজমায়েত। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।