ছবি : ছবি: ঢাকা ইনসাইটস
জ্বালানি খাতে সুবিচার নিশ্চিতকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং জ্বালানি নীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের দাবিতে 'জ্বালানি ও সামাজিক সুবিচার ফোরাম'-এর উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে 'জ্বালানি সুবিচারে বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভা।
শনিবার (১০ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের ৩১১ নম্বর রুমে উক্ত আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা জ্বালানির ন্যায্য বণ্টন ও প্রাপ্যতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার, জ্বালানি খাতে দুর্নীতি ও গোপনীয়তা, জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় রাবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচক ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, জ্বালানি খাতের সুষম মূল্য নির্ধারণে জনগণের মতামত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে 'বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন' আইনের ৩৪ ধারায় বলা আছে যে, গণশুনানির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু তা কখনোই হয় না। বিগত বছরগুলোতে সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জ্বালানির কোনো সুবিচার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে আমরা সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে আইনি লড়াই করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দল, মত, নির্বিশেষে সাধারণ মানুষকে এই বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হতে হবে, যাতে সামনের দিনগুলোতে নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটে।
আলোচনা সভার সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, আমাদের প্রতিদিনের ভাবনার মধ্যে জ্বালানি নিয়ে ভাবতে না পারলে জ্বালানি সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। জ্বালানি সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার বা সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করলেই হবে না। এনার্জি সুরক্ষাই হলো জীবন সুরক্ষা। এনার্জি সুরক্ষার জন্য সারাদেশে সকল জায়গায় এই ধরনের আলোচনা সভার আয়োজন করা উচিত। আমরা গতানুগতিক ধারার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবো, যা আমাদের পরিবেশ নিয়ে ভাবাবে।
সবশেষে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, জ্বালানি নিয়ে আমাদের দেশে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, এইগুলো সমাধানের প্রধান উপায় হলো সাধারণ মানুষদের এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা। এটা শুধু আইনজীবী, পরিবেশবিদের কাজ নয়। যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কয়লা, তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে, আমাদের সোলার এনার্জির ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মতামত