ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
বাংলা টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী কে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপাস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে মডেলিং বিজ্ঞাপন এর পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকে নাম লেখান। তারপর থেকেই নিয়মিত অভিনয়ে মনোযোগ দেন মেহজাবীন চৌধুরী।
এদিকে ২০১৭ সালে মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার অনুষ্ঠানে মেহজাবীনের সাথে দেখা হয় অনন্য খান সাদিক এর। কথা বলে ভালো লাগে অনন্য কে মেহজাবীন এর।সেদিন মেহজাবীন চৌধুরী অনন্য খান সাদিক কে বলেন তার সাথে নিয়মিত কাজে থাকার জন্য। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি তে মেহজাবীন এর ফেসবুক পেইজ এর এডমিন হিসবে তার সাথে কাজে নেয় অনন্য কে। ২০১৮ সালে "বড় ছেলে" নাটকটি বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মেহজাবীন চৌধুরী কে। দ্রুতই কাজ বাড়ার সাথে সাথে ব্যাস্ততাও বাড়ে এই অভিনেত্রীর। ২০২০ সালে মেহজাবীন চৌধুরী এই অনন্য খান সাদিক কে তার ওয়ার্ক ম্যানেজার হিসেবে নিয়মিত কাজের সুযোগ করে দেয়। অনন্যও বেশ তার কাজে মনোযোগ দেয় এবং বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে অভিনেত্রীর। মাঝে মধ্যে শুটিংয়েও মেহজাবীন এর সাথে দেখা যেতো সময়ের সাথে সাথে ভাই হয়ে ওঠা জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর এই ম্যনেজার কে।
অনন্য খান সাদিক কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলায় জন্মগ্রহন করেন ১৯৯৮ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারী। তিনি তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা করেছেন কিশোরগঞ্জে। ২০১৭ সাল থেকেই আছেন মেহজাবীন এর সাথে। তিনি কখনোই মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেননি তিনি মেহজাবীন এর ম্যানেজার হয়ে ওঠার গল্প।
সম্প্রতি ২০২৫ সালে অনুষ্ঠাতি চলমান সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি টুর্নামেন্টে গত ৬ই মে বিকেলে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির মাঠে মেহজাবীন চৌধুরীর মা এবং ছোটবোন মালাইকা চৌধুরীর সাথে খোশগল্পে হাসিখুশিতে দেখা যায় অনন্য খান সাদিক কে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম,টিকটক সহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের পেইজ রিলসে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয় ৬ই মে রাতে। খুব গোপনেই তারা সবাই একসাথে বসে কথা বলছিলেন মাঠে ম্যাচ চলাকালীন। সেই ভিডিও ভাইরাল হবার পর সামনে আসে এই অনন্য খান সাদিক। এই বিষয়ে মেহজাবীন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনন্য কে আমি কখনো আমার ম্যানেজার হিসেবে দেখিনি। সে আমার পরিবারেরও একজন এবং আমার সবচেয়ে কাছের বিশ্বস্ত ছোট ভাই।
মতামত