শিক্ষাঙ্গন

গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রে ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের সচেতনতা ক্যাম্পেইন

প্রিন্ট
গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রে ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের সচেতনতা ক্যাম্পেইন

ছবি : ছবি: ঢাকা ইনসাইটস


প্রকাশিত : ৯ মে ২০২৫, সন্ধ্যা ৮:০৫ আপডেট : ৯ মে ২০২৫, সন্ধ্যা ৮:১০

"ক্ষতির কারণ যদি লজ্জা হয় তাহলে আর লজ্জা নয়" এই স্লোগান কে সামনে রেখে কাজ করে আসা ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ) ৩য় দিনের মতো আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে গুচ্ছ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে।


শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, ইবি থানা গেট সংলগ্ন মাঠে তৈরিকৃত অভিভাবক বুথগুলোতে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সংগঠনের প্রায় ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এসময় পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক যারা বাইরে অপেক্ষারত ছিলেন তাদের মাঝে নারীদের ব্রেস্ট ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যেখানে এই দুই ক্যান্সার সম্বলিত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে তৈরি ক্যাপের নিজস্ব লিফলেট অভিভাবকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। সেখানে আগত প্রায় দুই হাজার অভিভাবকদের মাঝে সচেতনার বাণী পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে। 

ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু হাসান বলেন, দেশে যে হারে স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুমুখ ক্যান্সারের রোগী বাড়ছে এর প্রধান কারন হলো অসচেতনতা। তাই ক্যাপ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকদের সচেতনতা করা আমাদের মূল লক্ষ্য এতে করে উপস্থিত অভিভাবকরা পরবর্তীতে তাদের নিকট আত্মীয়দেরও সচেতন করতে পারবে। এছাড়াও ক্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল,কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতার জন্য ক্যাম্পেইন করে থাকে। সেই সাথে প্রান্তিক এলাকা গুলোতেও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মা ও বোনদের সচেতন করে থাকে।

উল্লেখ্য, নারীদের মাঝে স্তন ও জরায়ু মুখের ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে যাত্রা শুরু করে ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ)। বর্তমানে দেশের ৫টি অঞ্চলে নারীদের স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।