ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
বান্দরবনের থানচি উপজেলার আদিবাসী খেয়াং নারীকে সঙ্গবদ্ধভাবে ধর্ষণ-নির্মমভাবে হত্যা এবং ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
৮ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে 'বিচার বিচার চাই ধর্ষকের বিচার চাই', ফাঁসি ফাঁসি চাই ধর্ষকের বিচার চাই', 'আমার বোন মরলো কেন জবাব চাই জবাব চাই' এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সান্জয় কুমার ওরাও বলেন, "আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই পার্বত্য চট্টগ্রামের যে নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে তার বিচার এই অন্তবর্তী কালীন সরকার না করলে আামরা আারও কঠোর ভাবে প্রতিবাদ জানাবো। আামাদের ওপর যে নির্মম গণহত্যা ও ধর্ষণ বেড়ে চলেছে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এই প্রশাসনের। পরিশেষে ধর্ষকের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শস্তি নিশ্চিত করতে হবে।"
বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতি বিজয় কুমার বলেন, "পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে নানাভাবে নির্যাতন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমরা যারা পড়াশোনা অবস্থায় আছি তারা মিলে ৫ তারিখ থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত ধর্ষকের বিচারের আওতায় আনা হয়নি। আমরা এই প্রশাসনের কাছে একটাই চাওয়া তাদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা। সেখানে কাউন্টার সার্ভিস নামে সেনা প্রচলিত। আামি প্রশাসনের কাছে বলতে এই অন্যায়ের প্রতিবাদের বিচার না হলে ভিয়েতনামের মতো অবস্থা হবে।তিনি আরও বলেন, আদী বাসী নারী ও দেশের সকল নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। "
পার্বত্য চট্টগ্রামে যে শান্তি চুক্তি করা হয়েছিল সেটা করা হয়নি এজন্য আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। অনতিবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সকল নারীদেরকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মতামত