ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নারীসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, আব্দুস সামাদ ফকির, তার ছেলে বিল্লাহ ফকির, মেয়ে আফসানা ও অ্যাম্বুলেন্স চালক। অপর দুইজনের নাম জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস।
আহতরা জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুকুর এলাকায়। বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ তার বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ। তবে গতরাত থেকে তার ব্যথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাতে পরিবারটির ১০ জন মিলে ঢাকার পথে আসছিলেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কথা ছিল।
অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেয়ার পর এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলা এলাকায় আসার পর সেটির চাকা ব্লাস্ট হয়ে যায়। এরপর রাস্তার ডান পাশে চাপিয়ে সেটির চাকা মেরামত করছিলেন এর চালক। আর তারা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে বসে ছিলেন, আর কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেরামত প্রায় শেষের দিকে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে এসে সজোরে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়।
এদিকে, গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসটির হেলপার সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই বাস নিয়ে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় আসছিলেন। নীমতলা এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের ডান পাশের লেনে দাঁড় করানো ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন দ্রুতগতির বাসটি চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক করেও থামাতে পারেনি। সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে।
এদিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, মাওয়ার নীমতলা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তারা মা*রা যান। আর আহ*তদের ঢাকা মেডিকেল পাঠান হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কেউ মা*রা গেছে কিনা সেটি তার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে যেই নারী নি*হ*ত হয়েছেন তার লা*শ পুলিশ হেফাজতে আছে। বাস, অ্যাম্বুলেন্স দুটিই জব্দ করা হয়েছে।
মতামত