ছবি : ছবি: ঢাকা ইনসাইটস
আজ (৭মে) বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫ম উপাচার্য হিসেবে তিনি যোগদান করেন।এসময় তিনি বিদায়ী উপাচার্যের কাছে থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
পেশাগত জীবনে রিয়ার এডমিরাল খন্দকার আক্তার হোসেন নৌবাহিনীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।এছাড়াও শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে তার অবদান অনন্য।
শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই রিয়ার এডমিরাল খন্দকার আক্তার হোসেন অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে নিজেকে প্রমাণিত করেন।সে ধারাবাহিকতায় তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি,ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ার ম্যানেজমেন্ট এবং বুয়েট থেকে নেভাল আর্কিটেকচার ও ওশান ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে রিয়ার এডমিরাল খন্দকার আক্তার হোসেন ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে মেরিন একাডেমিতে সিনিয়র মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে যোগদান করেন।এরপর তিনি বিভিন্ন অপারেশনাল জাহাজে চিফ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও খুলনা শিপার্ড লিমিটেড এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন।
এছাড়াও তিনি ২০০৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছেন।২০১৩ থেকে তিন বছর তিনি চিনের উচং শিপবিল্ডিং এর চিফ নেভাল আর্কিটেক এবং প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত চিটাগং ড্রাই ডক,নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড,খুলনা শিপইয়ার্ড এর ডিরেক্টর ছিলেন।এছাড়াও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি(এমআইএসটি) এর নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগের হেড এবং এমই বিভাগের ডিন হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।সর্বশেষ তিনি সহকারী নৌপ্রধান(ম্যাটারিয়াল) হিসেবে নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
নতুন উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমে গতি ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা অর্জন হবে বলে আশা শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের মাঝে আশা জেগেছে, নতুন উপাচার্যের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি একটি উন্নত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
উল্লেখ্য,রিয়ার এডমিরাল খন্দকার আক্তার হোসেন বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ৫ম উপাচার্য হিসেবে বিদায়ী উপাচার্য রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
মতামত