শিক্ষাঙ্গন

মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গবিতে 'মুক্ত আলোচনা'

প্রিন্ট
মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গবিতে 'মুক্ত আলোচনা'

ছবি : ঢাকা ইনসাইটস


প্রকাশিত : ৪ মে ২০২৫, বিকাল ৫:০৩

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) 'মুক্ত আলোচনা' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) বেলা ২টায় বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সংগঠন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) আয়োজনে, গবিসাস কার্যালয়ে আয়োজন টি সম্পন্ন হয়।

আলোচনা সভায় আমার দেশ পত্রিকার ফটো এডিটর এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু বলেন, "যতক্ষণ মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ না করেন ততক্ষণ সংবাদমাধ্যম গুলো মুক্ত এবং অবাধ সাংবাদিকতার চর্চা করতে পারে। দেশের অধিকাংশ মিডিয়া হাউজ গুলো নষ্ট হয়ে গেছে এবং সাংবাদিকতার মান খর্ব হয়েছে এসব সংবিধিবদ্ধ কারণেই। তবে নিজেদের মর্যাদা সমুন্নত রেখে কাজ করতে থাকলে আশা করা যায় আগামীতে সংকট গুলো দূর হবে"

আজকের পত্রিকার সাভার আশুলিয়া প্রতিনিধি এবং গবিসাসের সাবেক সভাপতি রিফাত মেহেদী বলেন, "সমসাময়িক দিনে 'এ আই' বিশেষ প্রভাব বিস্তার করছে। আগামীতেও এর প্রভাব বাড়বে। তবে ফ্যাক্ট চেকিং এবং তথ্যে সম্ভারের জন্য এ আইকে বিশেষায়িত প্রভাবে ব্যবহার করতে হবে। সার্বিক বিষয় সমূহে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং একই সাথে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর বলয় মুক্ত হয়েই সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে হবে।"

সমসাময়িক এবং ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার গুরুত্ব উল্লেখ করে গবিসাসের সভাপতি সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকের প্রশ্ন বা সংবাদ নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু চাকুরীচ্যুত করা বা মব সৃষ্টি করে হেনস্তা করা ভালো দৃষ্টান্ত নয়।"

তিনি আরো বলেন, "ক্যাম্পস সাংবাদিকতা একপ্রকার জলে বসে কুমিরের সাথে লড়াই করা। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান গুলোও বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক হেনেস্তা নতুন কিছু না। ফলে দীর্ঘ ধৈর্য এবং সাহসীকতার মধ্য দিয়েই এই সময়টা পার করতে হয়।"

আলোচনায় আরো অংশ নেন গবি গণসংযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, গবিসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসান, প্রচার সম্পাদক মাহিদুজ্জামান সিয়াম। এসময় উপস্থিত ছিলেন গবিসাসের সদস্য-শুভাকাঙ্ক্ষী সহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থী।