ছবি : সংগৃহীত
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনিও প্রতিবাদে শামিল হন। ক্ষুব্ধ জনতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেছেন, কারণ তাঁদের মতে, নিরাপত্তার চূড়ান্ত ব্যর্থতার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বন্দুকধারীরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যারা ছুটি কাটাতে কাশ্মীরে এসেছিলেন। এই নির্মম হামলায় বহু নিরপরাধ মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি এবং গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই কাশ্মীর উপত্যকায় মোমবাতি মিছিল, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ এবং পাকিস্তান বিরোধী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। রাজনীতিবিদ ফায়াজ আহমেদ মীর ও আসাউদ্দিন ওই এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি তুলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে ঘটনাস্থলে যান এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না এবং প্রতিটি হত্যার বদলা নেওয়া হবে। গত কয়েক বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে সহিংসতা কমে আসায় পর্যটন শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। কিন্তু এই হামলার ফলে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়েছে, এবং নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে উপত্যকায়।
মতামত