জাতীয়

ওয়াসার পানিতে ভয়াবহ ইকোলাই জীবাণু: এবি পার্টি

প্রিন্ট
ওয়াসার পানিতে ভয়াবহ ইকোলাই জীবাণু: এবি পার্টি

ছবি : সংগৃহীত


প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ৪:০০

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে কেঁচো বা এই ধরনের পোকামাকড় পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ময়লা ও দুর্গন্ধ। গত ফ্যাসিবাদের সময় ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল ওয়াসার লুটেরা এমডি তাসকিন এ আহমেদ। যার পুরোটাই পানি শোধনের পরিবর্তে আওয়ামী লুটেরাদের পকেটে ঢুকেছে। ওয়াসার পানিতে ভয়াবহ ইকোলাই ভাইরাস পাওয়ার পরও ওয়াসা নির্বিকার’ বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।


রবিবার (২০ এপ্রিল) ‘ওয়াসার দূষিত পানি, ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নগরবাসী’ বিষয়ে এবি পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘প্রতি বছর পানি নিয়ে একই পরিস্থিতি বিরাজ করলেও এর কোনও সমাধান নেই। বছরের পর বছর ধরে কোনও সরকারই জনগণের মৌলিক অধিকার বিশুদ্ধ খাবার পানির নিশ্চয়তা তৈরি করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে যে সমস্ত দুর্নীতিবাজ কেঁচো বা পোকামাকড় বসে আছে তাদের অপসারণ ব্যতীত নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে দূষিত পানির ভোগান্তি ও তার সমাধান বিষয়ে মুল বক্তব্য তুলে ধরেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি। উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, এবিএম খালিদ হাসান, শ্যাডো বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান নোমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান।

ওয়াসার দূষণ ও সমাধান নিয়ে বক্তব্যে মিলি বলেন, প্রতি বছরই গ্রীষ্মের শেষ এবং বর্ষার শুরুতেই ওয়াসার পানি হয়ে ওঠে নোংরা পোকামাকড়ের প্রজননক্ষেত্র। দূষণের পরিমাণ এতোটাই বাড়ে, যে কারণে রোগের প্রাদুর্ভাব প্রচণ্ডভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান চিন্তা করা হয়নি। ২০১৯ সালে একজন আইনজীবীর রিটে হাইকোর্ট ডিভিশন ৭ দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছিলেন— ওয়াসার পানির স্যাম্পলে মল, মূত্র এবং অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি কেন পাওয়া গেছে? যার উত্তর আজ প্রায় ৭ বছরেও পাওয়া যায়নি, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ বারকাজ নাসির, সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহকারী দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরণ চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সহকারী নারী বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শীলা, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক সুলতান মোহাম্মদ আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।