ছবি : সংগৃহীত
বেদনার্ত হৃদয়ে বাবার মৃত্যু শোক নিয়েও পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন এই ছাত্রী। মর্মান্তিক এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। নিহত আকরাম আলী রাজশাহী নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা এবং রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।
বৃহস্পতিবার এসএসসি’র ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিলো। রাজশাহীর শিরোইল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন রাকিয়া। তিনি অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী। চোখে অশ্রু, তবু কলম বন্ধ করেননি তিনি।
অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, রাকিয়ার বাবাকে শুধু প্রতিবাদ করায় হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা চরম নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত বিচারের দাবি করছি।
আকরামের স্ত্রী মুক্তি বেগম বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই মারা গেছে। ওরা আমার মেয়েকেও শান্তিতে থাকতে দেয়নি। মেয়েটা বাবার লাশ রেখে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দিতে গেছে। আমি এর বিচার চাই, ওদের ফাঁসি চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক নান্টু সম্প্রতি তার এক নারীকে মারধর করলে প্রতিবাদ করেন আকরাম আলী। কারণ, নির্যাতিত নারী ছিলেন আকরামের স্ত্রীর আত্মীয়।
এই ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ নান্টু আকরামের মেয়ে রাকিয়াকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে রাকিয়াকে গালিগালাজ করে নান্টু।
এ নিয়ে বিচার চাইতে আকরাম নান্টুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এর জেরে বুধবার রাত ১০টার দিকে তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় আকরাম আলী ও তার ছেলে হাসান ইমামের ওপর হামলা চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তদের ইটের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হন আকরাম। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ছেলে হাসান ইমাম অনন্ত বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মতামত