ছবি : সংগৃহীত
নিহতের নাম রুহুল আমিন (৬০)। তিনি বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল থেকেই আড়ানী রেলস্টেশনে অবস্থান করছিলেন রুহুল আমিন। একা একা বসে থাকা, লাইনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা এবং অস্বাভাবিক আচরণে বিষয়টি নজরে আসে অনেকের। বিকেলে ট্রেন আসার ঘণ্টা বাজানোর ঠিক পূর্বমুহূর্তে পূর্ব দিকের প্ল্যাটফর্মে অবস্থানরত রুহুল আমিন হঠাৎ করেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। মুহূর্তেই তিনি ট্রেনের নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঘটনার আকস্মিকতায় মুহূর্তে থমকে যায় রেলস্টেশন। ছুটে আসেন যাত্রীরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহতের শরীর ট্রেনের নিচে দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয়রা জানান, রুহুল আমিন কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
আড়ানী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। দুপুর থেকেই স্টেশনে অবস্থান করছিলেন তিনি। ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গেই হঠাৎ লাইনে ঝাঁপ দেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটে যায়।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। তবে যেহেতু এটি রেললাইনে ঘটেছে, ট্রেন দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশের আওতাধীন। বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা তারাই নেবেন।
এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মতামত