শিক্ষাঙ্গন

গান, নৃত্য, মেলায় মুখর বাকৃবির নববর্ষ উদযাপন

প্রিন্ট
গান, নৃত্য, মেলায় মুখর বাকৃবির নববর্ষ উদযাপন

ছবি : ঢাকা ইনসাইটস


প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ২:৪৪

বাংলা ভাষাভাষীদের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নানা আয়োজনে বর্ণিলভাবে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর. মার্কেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই শোভাযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সকাল ৮টায় বৈশাখী চত্বরে নববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।

উপাচার্য তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চৈত্র সংক্রান্তি শেষে এই বৈশাখেই নতুন ফসল কাটা এবং গ্রামবাংলায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো, ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করতেন। এগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। চৈত্রের খরতাপ শেষে বৈশাখ আসে শান্তির বার্তা নিয়ে। মুঘল সম্রাটদের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতার প্রচলন হয়। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সকলের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক—এই কামনা করি।”

এছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মাঝে ছিল, সকাল সাড়ে ৮টায় শিশু কিশোর কাউন্সিল, মহিলা সংঘ, সংগীত সংঘ ও সাহিত্য সংঘের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান সরকার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।

এছাড়াও সকাল ১০টায়, শিশু কিশোর কাউন্সিল কর্তৃক শিশুদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা এবং সাড়ে ১০টায় মহিলা সংঘের বালিশ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর বেলা ১২টায় বৈশাখী চত্বরে জাতীয় উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এসব আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সৃষ্টি করে উৎসবমুখর পরিবেশ।