ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (এনসিএস) অনুসারে, প্রথম ভূমিকম্পটি সকাল ৯টায় হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় আঘাত হানে। যেখানে ৫ কিলোমিটার গভীরে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার কম্পন রেকর্ড করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় স্থানীয়রা বাড়িঘর এবং অফিস থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় ছুটে আসেন। তবে, এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে, এর কিছুক্ষণ পরেই মধ্য মিয়ানমারের মেইকটিলার কাছে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এদিকে, আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯.৫৪ মিনিটে, তাজিকিস্তানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। যা মূলত ৬ দশমিক ৪ মাত্রার বলে অনুমান করা হয়েছিল। ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে, যা সকালে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
এতে তাজিকিস্তানের আশেপাশের শহরগুলোর বাসিন্দারা তীব্র কম্পন অনুভব করেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু দোকানপাট এবং স্কুল বন্ধ করা হয়।
এদিকে, সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে, আবারও ১০ কিলোমিটার গভীরে ৩ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে। যা এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা বাড়ানোর পাশাপাশি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তীব্র কম্পন অনুভব করেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু দোকানপাট এবং স্কুল বন্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এই ভূমিকম্পটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশকগুলোর মধ্যে একটি। কয়েক সপ্তাহ আগে মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩ হাজারের বেশি লোক মারা যান এবং হাজার হাজার আহত হন।
মিয়ানমারের সর্বশেষ এই ভূমিকম্পটি মান্দালয় এবং নেপিদো উভয় শহরেই অনুভূত হয়েছে। যে শহর দুটি ইতোমধ্যেই মার্চের ভূমিকম্পের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মতামত