জাতীয়

মিছিলে মিছিলে উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন জনতা

প্রিন্ট
মিছিলে মিছিলে উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন জনতা

ছবি : সংগৃহীত


প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ২:৪৮

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপন করে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে মিছিলে মিছিলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।


আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মৎস্যভবন এলাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করতে শুরু করেন জনতা। এ সময় প্রায় সবার হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, গায়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নানা রকমের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

উদ্যানের লেকের পাশে সাজানো হয়েছে প্রধানমঞ্চ। এছাড়া কয়েকটি পয়েন্টে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। টিএসসি শাহবাগসহ নানা প্রাঙ্গণে ফ্রিতে পানি, শুকনা খাবার সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মোড়ে মোড়ে স্বেচ্ছাসেবকরা শৃঙ্খলার কাজ করছিলেন।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট’ বাংলাদেশ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল, আলেম-ওলামা সমাজসহ সব অঙ্গনের মানুষ সংহতি জানিয়েছেন। ফলে সকাল থেকে জনতার স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে লোকারণ্য হয়ে ওঠে উদ্যান।

জমায়েত ঘিরে উদ্যানের আশপাশে জমে উঠেছে ফিলিস্তিনের পতাকা, মাথার ব্যাজ ও টি-শার্ট বিক্রি। আর আগ্রহ নিয়েই সেসব কিনছেন আগত অনেকেই।

পিরোজপুর বেসরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আসা তামান্না ইয়াসমিন রাজু ভাস্কর্যে পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি সমকালকে বলেন, ইসরায়েল যেভাবে নির্বিচারের শিশু নারীদের হত্যা করছে, গণহত্যা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনের মত পবিত্র স্থানকে তারা ধ্বংস করে দিতে চায়, এ জন্য আমরা রাজপথে এসেছি।

পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থেকে আসা ঝর্না আক্তার নামে একজন বলেন, প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করে এখানে এসেছি। ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জায়গা থেকে এসেছি। আরব বিশ্ব তো তেমন প্রতিবাদ করছে না। বাংলাদেশ যদি তাদের জন্য কিছু করতে পারে।

নিজের রিকশার ওপরে ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচু করে নাড়ছিলেন একজন। তিনি নিজেকে আনোয়ার পাগলা পরিচয় দেন। জিজ্ঞেস করতে বললেন, নেতানিয়াহু তুমি আলোচনায় বসো। তুমি মুসলমানদের ধ্বংসের পায়তারা নিয়ে নেমেছো, এটা তো পারবাই না। তুমি নিজে ধ্বংস হয়ে যাবা।