জাতীয়

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত

প্রিন্ট
বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত

ছবি : ফাইল ছবি


প্রকাশিত : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ৫:৫৯

বাংলাদেশে তৃতীয় দেশগুলোর জন্য পণ্য রপ্তানি করতে ভারতীয় স্থলশুল্ক স্টেশন ( এলসিএস) ব্যবহার করার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সরকারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় ভারত। ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। 


(ট্রান্সশিপমেন্ট হলো পণ্যবাহী একটি যান থেকে আরেকটি যানে সেই পণ্য স্থানান্তর। এটি দেশের ভেতর সচরাচর হয়ে থাকে। যখন দুটি দেশের মধ্যে বিষয়টি চলে আসে, তখনই তাকে আন্তর্জাতিক ট্রান-শিপমেন্ট বলা হয়। যেমন: ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে পণ্য খালাস করলো। এরপর খালাসকৃত ওই পণ্য আবার আরেকটি বাংলাদেশি ট্রাকে তুলে নিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তসংলগ্ন তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে খালাস করা হলো। সেখান থেকে তা আবার ভারতীয় ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো।)

ভারত সরকারের ওই আদেশে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ওই আদেশ অনুসারে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এখন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এই সুবিধা বাতিল করলো।

এ আদেশে আরও বলা হয়েছে, যেসব পণ্যবোঝাই যানবাহন ইতিমধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে আছে, সেগুলো দ্রুত ভারতের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে পারবে।

বর্তমানে স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে পণ্য যায়। এখানে ট্রান্সশিপমেন্ট হলো, বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির সময় ভারতের ভূখণ্ড পাড়ি দিতে হয়। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল ও ভুটান সীমান্ত পর্যন্ত পণ্যের যানবাহন (ট্রাক, টেইলর) পরিবর্তন করা হয়। এটিই ট্রান্সশিপমেন্ট। ভারত এখন এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো।

ভারতের রপ্তানিকারকরা বিশেষ করে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা আগেই সরকারের কাছে বাংলাদেশকে এই সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট