ছবি : সংগৃহীত
নতুন কোন ক্লাবে যাবেন ডি ব্রুইনা? এমন এক প্রশ্ন চাউর হয়েছে গত কয়েকদিনে। গেল বছর থেকেই অবশ্য ডি ব্রুইনাকে দলে টানার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিগ এমএলএসের ক্লাব স্যান ডিয়েগো। যদিও সিবিএস স্পোর্টসের সবশেষ খবর বলছে, ক্লাবের বাজেট ইস্যুর কারণে সম্ভবত ডি ব্রুইনাকে আর দলে নেয়া হচ্ছে না স্যান ডিয়েগোর।
তবে কোথায় থিতু হচ্ছেন এই বেলজিয়ান প্লে-মেকার? এর উত্তরে সবশেষ তিন দিনে যে নামটা সবচেয়ে বেশি এসেছে সেটা ইন্টার মায়ামি। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, জর্দি আলবাদের নিয়ে এরইমাঝে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে বেশ বড় নাম হয়ে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। তাদের সেই তালিকায় এবার যুক্ত হতে পারে কেভিন ডি ব্রুইনার নামটাও।
দ্য মিরর, ইএসপিএন এবং ডেইলি মেইলসহ একাধিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, স্যান ডিয়েগো সরে যাওয়ার পর থেকে মায়ামিই এখন ডি ব্রুইনাকে দলে টানার জন্য সবচেয়ে বড় দাবিদার। দক্ষিণ ফ্লোরিডার ক্লাবটির মালিকানায় থাকা ডেভিড বেকহ্যাম নিজেও বেশ আগ্রহী এই বেলজিয়ানকে নিয়ে। আর সেজন্য এমএলএসের একেবারেই ভিন্নধর্মী ‘ডিসকভারি রুল’ও ব্যবহার করতে পারে ক্লাবটি।
এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কোটা পূরণ হয়ে গেলেও আগে কখনো এমএলএসে না খেলা তারকাকে প্রথমবারের মতো দলে নিতে কোনো সমস্যা থাকবে না ক্লাবগুলোর। ডি ব্রুইনা যেহেতু এমএলএসের কেউ নন, তাকে এই পদ্ধতিতে দলে নিতেও জটিলতা থাকছে না ইন্টার মায়ামির।
আর মৌসুমের শেষে যদি সত্যিই ইন্টার মায়ামির গোলাপি জার্সিতেই নিজের ঠিকানা খুঁজে নেন ডি ব্রুইনা, তবে সেটাও ফুটবল ভক্তদের জন্য হবে বিশেষ কিছু। সময়ের অন্যতম সেরা দুই প্লে-মেকার লিওনেল মেসি আর কেভিন ডি ব্রুইনাকে একই ক্লাবে খেলতে দেখা নিশ্চিতভাবেই বড় উপলক্ষ্য ফুটবলের জন্য।
তবে ডি ব্রুইনাকে একেবারে সহজেই পেয়ে যাবে ইন্টার মায়ামি, এমন দাবিও করা চলে না। বিগত কয়েক বছর ধরেই ফুটবলে ব্যাপক আকারের বিনিয়োগ করছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। দুই শীর্ষ ক্লাব আল-নাসর এবং আল-ইত্তিহার আগ্রহী ডি ব্রুইনাকে নিয়ে। আগ্রহীর এই তালিকায় আরও আছে তুরস্কের দুই ক্লাব গ্যালাতাসারাই এবং ফেনেরবাখ। যদিও দ্য অ্যাতলেটিক বলছে, এখন পর্যন্ত ইন্টার মায়ামিই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ডি ব্রুইনাকে দলে ভেড়ানোর তালিকায়।
মতামত