কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ৮ নং হাসনাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চতলার পাড় গ্রামে বাবার ভাড়াটে সন্ত্রাসী ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে ডাকাতদের গণধোলাই এবং তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।
গত ৭ই এপ্রিল (সোমবার) রাত আনুমানিক ১২ টায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ঘটে চতলার গ্রামের আলহাজ্ব এছাহাক ওরফে এছা হাজী (৬২) এবং তার ছেলে মোঃ নয়ন (৩০)।
ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী একত্রিত হলে এছা হাজী বলেনঃ আমার ছেলে মাদকাসক্ত, তাকে নিরাময় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য লোক ভাড়া করেছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নয়ন বলেন, আমার জীবন শঙ্কায় রয়েছে। আমি জানি কোথাও সঠিক বিচার পাবো না।
উক্ত ঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে আমার অভিযোগ গ্রহণ হবে না। উল্টো আমায় গ্রেফতার করবে। কারণ থানায় আমার বাবার অবৈধ প্রভাব রয়েছে।
মাদকাসক্তের বিষয়টি জানতে চাইলে, বলেনঃ আমি মাদকাসক্ত কিনা সেটা এলাকার লোক ভালো বলতে পারবে। আমার এলাকার একজনও বলতে পারবে না। মাদক তো দুরের কথা, সিগারেট খাই।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, রাতে নয়নকে তুলে নিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে উভয়ের টানাহেছড়াতে মুখে বাধা কাপড়ের ফাঁকে ভুক্তভোগী প্রতিবেশীর নাম ধরে বাঁচাও বলে চিৎকার দেয়।
পরে সেই প্রতিবেশীর হাক ডাকে এলাকাবাসী জড়ো হয় এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
তারা সকলে মিলে সন্ত্রাসীদের আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এবং তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মতামত