ছবি : সংগৃহীত
সোমবার (৭ এপ্রিল) গতকাল সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গাছা থানায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সহকারী উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার সবুজের ছেলে সিয়াম খান অনিক (১৮), ময়মনসিংহ জেলার নতুন বাজার বালিপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিমুল আহাম্মেদ শাওন (২০), শরিয়তপুরের নাজিমুদ্দিন মোল্লারকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহীন (১৯) ও গাছা থানার পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গতকাল দুপুরে বোর্ডবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ইসরায়েলী আগ্রাসন বিরোধী মিছিল বের হয়। ওই মিছিলের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা পূর্ব পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বর্হিবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে তৃপ্তি হোটেল, রাধুনী হোটেল এবং বাটা কোম্পানি ডিলারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাশকতা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ক্ষতিসাধন করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত উস্কানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলামান আছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
পরবর্তীতে এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুষ্কৃতিকারী শনাক্ত করে গাছা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওই ঘটনায় জড়িত সিয়াম, শিমুল আহমেদ, শাহীন ও জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে গাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত উস্কানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলামান আছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
মতামত