ছবি : ফাইল ফটো
অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু বলেন, শিক্ষক তাহমিনা রহমানকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
এর আগে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া ভুল বোঝাবুঝির পর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা তাহমিনা রহমান একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করে সবারর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সোমবার মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ ক্ষমা চান।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার কথার ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে গভীর কষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। আমি কখনোই ফিলিস্তিন ও গাজার মজলুম মুসলিমদের উপর নিকৃষ্ট ইসরাইলের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করিনি, এখনো করিনা, কখনোই করবো না।’
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে স্ক্রিনশটগুলো ছড়িয়ে পড়েছে, তা তার প্রকৃত মনোভাবের প্রতিফলন নয়। তার কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাহমিনা বলেন, ‘আমি নিঃসন্দেহে গাজা ও তার জনগণের পাশে আছি। তাদের ন্যায্য অধিকার, স্বাধীনতা এবং জীবনের নিরাপত্তার পক্ষে আমি সবসময়ই দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছি ও ভবিষ্যতেও নেব।’
তিনি তার ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে শুরুতে একটি ছোট পরিসরের বিষয় বলে ভেবেছিলেন, যা পরবর্তীতে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখা দেয়। তিনি স্বীকার করেন, বিষয়টি পুরোপুরি না বোঝার কারণে তার প্রতিক্রিয়া যথাযথ ছিল না এবং সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
তার এই ব্যাখ্যা ও দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান এবং বলেন, ‘আমার শিক্ষার্থী, সহকর্মী, বন্ধু এবং যারা এই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’
ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচিতে অংশ নিলে শিক্ষার্থীদের ‘ডাবল অ্যাবসেন্ট’ দেবেন বলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা তাহমিনা রহমানের একটি মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক। তার পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
মতামত