ছবি : সংগৃহীত
সোমবার (৭ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
যুদ্ধ শুরু পর থেকে বিভিন্ন হামলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজার মিডিয়া কর্মীদের টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির 'কস্ট অফ ওয়ার' প্রকল্পের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে লোয়েনস্টাইন বলেন, গাজার সাংবাদিকদের নিহতের সংখ্যা গত ১০০ বছরের সব সংঘাতের চেয়ে বেশি। এসব পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, গাজায় সাংবাদিকদের নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।
লোয়েনস্টাইন বলেন, যদি চীন, রাশিয়া এবং ইরান সাংবাদিকদের টার্গেট করে, তবে সেটা অনেক বেশি গুরুত্ব পায়, বড় করে দেখা হয়। কিন্তু মাসের পর মাস ধরে ইসরায়েল এটা করে আসছে, তা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয় না।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার অভাব স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, এখন সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি শ্রেণীবিভাগ তৈরি হয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনিরা মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
মতামত